আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ
কানাডা বিএনপি'র নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে একদল সংগ্রামী নেতারা কানাডার সংসদ সদস্য চন্দ্র আরিয়ার সাথে তাঁর বাংলাদেশ রাজনীতিতে ভূমিকার প্রতিবাদ জানাতে তার আঞ্চলিক অফিসে সাক্ষাৎ করেন।
কানাডা বিএনপি'র সংগ্রামী নেতাদের পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব ফয়সল আহমেদ চৌধুরী'র নেতৃত্বে নেতারা তাদের প্রতিবাদ জানাতে মাননীয় সংসদ সদস্যের আঞ্চলিক কার্যালয়ে উপস্থিত হন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন এম এ মান্নান (সভাপতি, কুইবেক বিএনপি), অটোয়া বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হাফিজুর রহমান লিটন (সহ সমন্বয়ক-১), ইউসুফ হারুন (সহ-সমন্বয়ক-২), সৈয়দ আনোয়ার (সদস্য), মোবাশ্বের আলী (সদস্য)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুইবেক বিএনপি'র সদস্য জনাব সাইদুর রহমান।
গত জুন ২০২৩ এবং অতি সাম্প্রতি নির্বাচন (২০২৪) উত্তর, জনাব চন্দ্র আরিয়ার বাংলাদেশ সফর এবং নিয়ন্ত্রিত ও ড্যামি নির্বাচনের জনক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে কানাডার পার্লামেন্টে বৈধতার অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতে সংগ্রামী নেতারা তার অফিসে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পরিচয় পর্ব শেষে জনাব ইউসুফ হারুন সূচনা বক্তব্য দেন। ঠিক তার পরপরই জনাব ফয়সল আহমেদ চৌধুরী তার বক্তব্যে জানতে চান বাংলাদেশের ব্যাপারে দেয়া সাম্প্রতিক স্টেটমেন্ট ফিরিয়ে নেয়া হবে কিনা?
তিনি জানতে চান তার এই সাপোর্ট বাংলাদেশের একনায়কতান্ত্রিক সরকারকে জুলুম, নির্যাতন, জেল ও হত্যা করতে আরো ত্বরান্বিত করছে যা গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের সামগ্রিক লঙ্ঘন - এরপরেও তিনি কেন অযাচিতভাবে সমর্থন করে যাচ্ছেন।
জনাব সাঈদ আনোয়ার তার বক্তব্যে জানতে চান তিনি কেন এবং কি কারনে ফ্যাসিস্ট সরকার প্রধান শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন যদিও সেটা কানাডা সরকারের কোন সফর ছিল না । কিসে তাকে এত অতি উৎসাহী করে তুলেছে বর্তমান স্বৈরতান্ত্রিক শাসক কে সহায়তা করতে। তর্ক-বিতর্ক ও আলোচনার এমন মুহূর্তে জনাব এম এ মান্নান বলেন কানাডার মত একটি গণতান্ত্রিক দেশের সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও তিনি কেন অগনতান্ত্রিকভাবে বাংলাদেশ সরকারের এই ড্যামি নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ত মূলক আচরণ করছেন যা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রতিহত করছে।
জনাব ইউসুফ হারুন তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন সরকার ও আওয়ামী পরিপন্থীরা তাকে ব্যবহার করছে সে বিষয়ে সতর্ক হতে। এছাড়া তিনি পুরো যোগাযোগ ও সমন্বয় সুন্দর ও দৃঢ়তার সাথে পালন করেন। সবার সাথে জনাব মোবাশশের আলী ও সাইদুর রহমান ও তাদের বক্তব্যে তার এই সফরের প্রতিবাদ জানান।
মাননীয় সংসদ সদস্য শুরুতে তার দেয়া স্টেটমেন্ট ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করলেও বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানান। তর্ক বিতর্ক আলোচনার প্রেক্ষিতে উনি বুঝতে পারেন এবং বিষয়টি তাকে তারা ব্যবহার করছে বলে একমত হন।
তিনি আরো জানান, এটা তার ব্যক্তিগত সফর ছিল সরকারি সফর নয়। তিনি এও জানান তিনি কানাডা সংসদের সাংসদ কিন্তু কানাডা সরকারের কোন দায়িত্বে সে নেই। তিনি সরকারের কোন অংশও নয়, এটা সরকারি কোনো সফর নয়। তার ব্যক্তিগত সফর। তার এই বক্তব্য কোনোভাবেই কানাডা সরকারের বক্তব্য নয। তার সফর নিয়ে মিডিয়া ফেইসবুক বাংলাদেশ হাইকমিশন কানাডা অপ ব্যবহার করছে সে বিষয় তিনি দৃষ্টি রাখবেন বলে জানান।