1. mdsaifulbinnurujjaman@gmail.com : লক্ষ্মী কথন : লক্ষ্মী কথন
  2. natorelive@natorelive.com : natore live : natore live
  3. info@www.natorelive.com : 𝐍𝐚𝐭𝐨𝐫𝐞 𝐋𝐢𝐯𝐞 :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
লালপুরে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে বিক্ষোভ মিছিল লালপুরের বিলমাড়িয়াতে আদর্শ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত  বাগাতিপাড়ায় র‌্যাব’র হাতে অপহরণ মামলার আসামি গ্রেফতার রাজশাহীতে ১৫ দিনব্যাপী গ্রীষ্মকালীন কারুশিল্প উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন নাটোর বনপাড়া পৌরসভা এলাকায় অজ্ঞাত নারীর মরদেহ লালপুর উপজেলা নির্বাচনী প্রচারণায় এগিয়ে শহীদ মমতাজ উদ্দিনের পুত্র সাগর লালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এ কেমন পরীক্ষা বাগাতিপাড়ায় পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু বাগাতিপাড়ায় বিশ্ব মা দিবস পালিত সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ১৩ জন শিক্ষকের বিপরীতে ১৩ জন শিক্ষার্থী পাস করেনি কেউ 

শেষ বিচারটা হয়তো রাজনৈতিক হবে না হবে অর্থনৈতিক ড.দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩
  • ২০২ বার পড়া হয়েছে

নিজেস্ব,প্রতিনিধিঃ

প্রধান বিরোধী দল বিএনপি একটি বড় ধরনের সমাবেশ করেছে। সমাবেশকে ভণ্ডুল করে দেয়া হয়েছে। মানুষ কিন্তু ভোট দিতে চাচ্ছে। একটা ভীতির সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। শেষ বিচারের বিচারটা হয়তো রাজনৈতিক হবে না হবে অর্থনৈতিক। একটা কর্তৃত্ববাদী সরকার ততদিন টেকে যতদিন পর্যন্ত আপনার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থাকে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেছেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে চ্যানেল আইতে সাংবাদিক জিল্লুর রহমানের উপস্থাপনায় টকশো ‘তৃতীয় মাত্রা’য় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, যখন মানুষ খুব কুরুচিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করে, তখন বুঝতে হবে সেই মানুষ সমস্যার মধ্যে জর্জরিত আছে। আমরা যখন উত্তরাধিকার রেখে যেতে চাই তখন বড় চিন্তার উত্তরাধিকার হয়। সেটা পদ্মা ব্রিজ, টানেল, ফ্লাইওভার দিয়ে রক্ষা করা যায় না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কিন্তু বড় চিন্তা করেছেন। এটাই নেতৃত্বের জায়গা। বঙ্গবন্ধুর সময় কি অর্থনৈতিক কষ্টে ছিলাম কি অন্য কষ্টে ছিলাম এসব কেউ মনে রাখবে না। মনে রাখবে মানুষটা জীবন দিয়ে গেছে আমাদের জন্য। আমাদের নেতৃবৃন্দের উচিত বড় চিন্তা করা। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ আবার শান্ত হবে, ঝড় থেমে যাবে। গোলায় ধান ভরে উঠবে।
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, আপনি যদি বিকাশমান গোষ্ঠী বিশেষ করে মধ্যবিত্তদের যদি আপনি খাওয়া পড়ার ব্যবস্থা করে রাখতে পারেন তাহলে তার মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কম চিন্তা করে। যখন দেখে তার আর্থিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আরও খারাপ হচ্ছে তখন পরিবর্তনের জায়গা তৈরি হয়। যারা দেশ চালাচ্ছেন তারা রাজনীতিতে যতটা বিনিয়োগ করলেন তার থেকে বেশি দল ভাঙার ক্ষেত্রে নির্বাচনে আনার ক্ষেত্রে করলেন। এসব প্রণোদনা যদি আদা, পিয়াজ, ডিম, শাক লতাপাতার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিতেন তাহলে আরও বেশি রাজনৈতিক সুফল পেতো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ছয় মাস আগে বলেছিলাম ত্রিমুখী সংকটে দেশ। এক. অর্থনৈতিক সংকট, দুই. রাজনৈতিক সংকট ও তৃতীয়ত বৈদেশিক সম্পর্কের সংকট। এই ৬ মাসে এই ৩ সংকটই আরও গভীর হয়েছে। আরও নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। অথনৈতিক সংকটের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফিতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এটা সরকারি হিসেবে ১০ শতাংশের কাছাকাছি। কিন্তু খাদ্যমূল্য সূচক বেড়েছে ১৪ শতাংশের মতো। এরসঙ্গে আমরা ভাবতাম গ্রামে মূল্যস্ফিতি এতটা নয়। কিন্তু এখন দেখছি এটা সত্য নয়। সরকারি হিসেবে বলছে, গ্রামে আরও একটু বেশি। মূল্যস্ফিতি কি কমবে? না কমবে না। আমার টাকার মূল্যের অবনমনের কারণে এটা হবে। সরকার বর্তমানে ব্যয়ের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি অপারগ বা সংযমী। সেহেতু রাজস্ব ব্যয় ও উন্নয়ন প্রথম ৪/৫ মাসে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এটার ফলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুধু বন্ধ হয়নি তা নয়, রাজস্ব ব্যয় পরিপালনের জন্য যেটা থাকে সরকারের নিজস্ব টাকায় করে সেটাও সম্ভব হচ্ছে না। গ্রামাঞ্চলে নির্বাচনকে ঘিরেও যেসব কাজ হয়ে থাকে সেসবও হচ্ছে না। ধরেন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছিলেন সেটা কমে যাচ্ছে। ঠিকাদারকে বলতে হচ্ছে অপেক্ষা করো। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিনিয়োগও কমে গেছে। এখন আমদানি করতে পারছেন না। এলসি খুলতে পারছেন না। এটার ফলে সরকারি যে সুবিধা সরকারের হচ্ছে, আমদানি কমার ফলে বৈদেশিক মুদ্রায় ভারসাম্য আনার সুযোগ হচ্ছে। নভেম্বরে সব থেকে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে রপ্তানিখাতে। আমদানি এক চতুর্থাংশ কমে গেছে। বাজারে গেলে দেখবেন প্রয়োজন অনুযায়ী আমদানি করা যাচ্ছে না। এমনকি ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রে এটা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন ধরনের বৈদেশিক ব্যয় আরও বেড়ে গেছে। স্বল্প মেয়াদি ঋণ নেয়া বেড়েছে। যেটাকে আমরা ট্রেড ক্রেডিট বলি। যেগুলোর মূল্য অনেক বেশি। এরসঙ্গে বড় বড় প্রকল্পে ব্যয় পরিশোধের সময় চলে এসেছে। সাশ্রয়ী সময় যেটা ছিল ৩ বছর বা ৫ বছর যখন দিতে হয় না সেগুলো পার হয়ে গেছে। এই যে বঙ্গবন্ধু টানেল করলাম। নিঃসন্দেহে বড় অর্জন। এটার জন্য যে ঋণ নিয়েছি এটা শুরু হবার আগেই টানেলের জন্য ঋণ পরিশোধের সময় এসে গেছে। রূপপুর যখন চালু হবে আর ২ বছর পর, তখন ৫০০ মিলিয়ন ডলার বছরে দিতে হবে। এখন ২/২.৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধজনিত ব্যয়। আগামী বছর এটা ৩ বিলিয়ন হবে, এটা আরও লম্বা হতে থাকবে। এটাকে মেটানোর মতো বৈদেশিক ক্ষমতা আমাদের নাই। যেটুকু ছিল সেটাও আমাদের বিভিন্ন গড়মিলের কারণে নাই। অর্থনীতি এখন কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। সরকার এই মুহূর্তে ৩ মাসের অর্থনীতি নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। নির্বাচনের আগে তারা যেটা করছে অর্থনীতিকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে। আদার দাম, পিয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ পাঠাচ্ছেন। প্রশাসনিক ব্যবস্থা দিয়ে অর্থনীতি ব্যবস্থা ধরে রাখতে চাচ্ছেন। আবার বলছেন সিণ্ডিকেট আছে। প্রশাসনিক ব্যবস্থা দিয়ে সব ধরনের সমাধান করবো, এটা দিয়ে অর্থনীতি চলে না। আরও করা যায় না বিদেশি সম্পর্কের ক্ষেত্রে। এটাই আমি বলেছিলাম ৫/৬ মাস আগে। এখন অর্থনীতি কতোদিন সহ্য করতে পারবে এটা এখন দেখার বিষয়। আমরা কোনো একটা জায়গায় গিয়ে বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে যদি না পারি? আমাদের যে দেনা আছে তেল আনা বা অন্যান্য ক্ষেত্রে সেটা কীভাবে মোকাবিলা করবো সেটা নিয়ে চিন্তা আছে? এ ছাড়াও শ্রমের বাজারে নতুন করে আন্তর্জাতিকভাবে যে তিরস্কার পাচ্ছি সেটাতো আছেই।

তিনি বলেন, এই রকম পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাংক বা আইএমএফ যা করার তা তারা করেছে। চুক্তি অনুযায়ী কতোগুলো শর্ত পূরণ করতে হবে তা তারা বলেছে। একটা বড় বিষয় প্রথমত রাজস্ব আদায় করতে পারি নাই। বৈদেশিক মজুত রক্ষা করতে পারি নাই। এ দুটো না পারার একটা বড় কারণ হলো- যে ধরনের টাকার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার কথা ছিল তা আমরা করি নাই। সরকার ভয় পেয়েছে এটার ফলে মূল্যস্ফিতি আরও বাড়বে। এর কারণে সুদের হার বাড়বে। সুদের হার বাড়লে যে ব্যবসায়িক গোষ্ঠী আছে তারা অখুশি হবে। একই রকমভাবে ব্যাংকিং খাতে যেহেতু কোনো সংস্কার করা হয়নি এটাও সঞ্চালন করার ক্ষেত্রে যে তারল্য সেটাও আনতে পারেনি। তাই বিশ্বব্যাংক বা আইএমএফ’র কাছে নতুন করে চাওয়ার কিছু নাই। প্রাপ্য যে ক

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐈𝐧𝐭𝐞𝐥 𝐖𝐞𝐛