নিজেস্ব,প্রতিনিধিঃ
বগুড়ায় কঠোর নিরাপত্তায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সারা বাংলাদেশের ন্যায় বগুড়া জেলাতেও প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে পালিত হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আজ ছিল বিজয়া দশমী। এদিন সদর কেন্দ্রিক বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন বগুড়া জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম, পিপিএম মহোদয়। সাথে ছিলেন পুলিশ সুপার মহোদয়ের সহধর্মিনী পুনাক বগুড়ার সভানেত্রী ও পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (ক্রাইম এনালাইসিস) জনাব সুনন্দা রায়, বিপিএম-সেবা মহোদয়।
এ সময় পুলিশ সুপার মহোদয় পূজামণ্ডপের সভাপতি,সেক্রেটারি ও মণ্ডপে আগত সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তবৃন্দদের সাথে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পুলিশ সুপার মহোদয় উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এই উৎসব যেন নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে পারে সেই লক্ষে বগুড়া জেলা পুলিশ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অতীতের ন্যায় এখনো যে কোন ধর্মীয় উৎসবে সকল ধর্মের মানুষের সহযোগিতায় আনন্দ মুখর পরিবেশে শত-শত বছর ধরে উৎসবগুলো পালন করে আসছে বাংলাদেশ তথা সর্বস্তরের জনসাধারণ। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। মুসলিম,হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ইত্যাদি সকল ধর্মের অনুসারীদের দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি যুগ-যুগ ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির স্বাক্ষর বহন করছে।
তিনি আরো বলেন, বাঙালি হিন্দুর প্রধান উৎসবটি ঘিরে সামান্যতম নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি হতে দেয়নি বগুড়া জেলা পুলিশ। তিনি তার নেতৃত্বে উৎসবমুখর, নান্দনিক ও নিরাপদ পূজা উপহার দিয়েছে জেলা পুলিশের সদস্যগণ। পুলিশ সুপার মহোদয় নিজে প্রতিটি থানার গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপগুলো পরিদর্শন করেছেন। এসময় তাঁর সঙ্গী হয়েছেন জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সার্কেল এএসপিগণ এবং থানার অফিসার ইনচার্জবৃন্দ।
নিরাপদ, নির্বিঘ্ন অথচ উদযাপনে কার্পণ্যহীন শারদীয় দুর্গোৎসব উপহার দেয়ায় বগুড়া জেলা পুলিশের সকল সদস্যকে সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয় আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি বগুড়াবাসীকে জানিয়েছেন সাদর অভিনন্দন। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রেখে দেশের অগ্রযাত্রা ও সমৃদ্ধি অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও শুভেচ্ছা বিনিময়কালে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারি ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply