1. mdsaifulbinnurujjaman@gmail.com : লক্ষ্মী কথন : লক্ষ্মী কথন
  2. natorelive@natorelive.com : natore live : natore live
  3. info@www.natorelive.com : 𝐍𝐚𝐭𝐨𝐫𝐞 𝐋𝐢𝐯𝐞 :
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন

নাটোরের লালপুরে তীব্র তাপদাহে পানি সংকট,হাঁসফাঁস জনজীবন,পুড়ছে মাঠের ফসল

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে

 

আবু তালেব,লালপুর(নাটোর)প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশের সবচেয়ে উষ্ণতম অঞ্চল নাটোরের লালপুর,এই অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বৈশাখের তীব্র দাবদাহ তাপ।প্রবাহমান তাপদাহ স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত করে দিচ্ছে। প্রকৃতির এমন একটানা বৈরী আচরণ অভাবনীয়। কেবল দিবাভাগে নয়, অহর্নিশি অস্বস্তিকর প্রহর কাটাচ্ছেন মানুষ। সাথে প্রাণীকুলও। এমনকি কাছ-পালা-বৃক্ষলতা, ফল-ফসল, পরিবেশ-প্রতিবেশ সমস্ত কিছু। হাঁফিয়ে উঠেছে দেশ। প্রাণঘাতী এই অসহ্য গরমে সবাই চাতকের মতো তুমুল বৃষ্টির জন্য অধীর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। উন্মুক্ত প্রান্তরে সালাতুল ইসতেস্কা পড়ছেন মুসলমানরা।এই তীব্র তাপদাহের কারণে পুড়ছে কৃষকের আবাদি ফসল, হাঁসফাঁস করছে জনজীবন।পানি সংকটে এলাকাবাসী। প্রতিদিনই ঊর্ধ্বমুখি হচ্ছে এই তাপদাহ তাপমাত্রা।
গ্রীষ্মের তাপ দাহে পুড়ছে মাটি পুড়ছে দেশ। পুড়ছে মানুষ পুড়ছে মাঠের ফসল। দেশের সবথেকে উষ্ণতম স্থান লালপুর। বর্তমানে প্রচন্ড খরায় জনজীবন বিপর্যস্ত। মানুষ ছুটছে পানির লাগি ছায়ার লাগি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে অগ্নি বর্ষণ শুরু হয়। মানুষ স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে অক্ষম। রাস্তাঘাটে লোক দেখা যায় না। নেহাত প্রয়োজন ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হয় না। গৃহপালিত গবাদি পশুর খাবার নাই সারা মাঠ জুড়ে। পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে এই দলগুলিতে পানি উঠে না। পানি ছাড়া জীবন বিপর্যস্ত। জীবনের সকল কাজেই পানির প্রয়োজন। পানির অভাবে চাষীদের চাষ করা ব্যাপক অসুবিধা। ফসল উৎপাদনের অভাবে ভবিষ্যতে খাবারের অভাব দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অনেকেই মনে করছেন দুর্ভিক্ষের নমুনা দেখা যাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস সূএ বলছে,এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে এখন বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ।
গত শনিবার (২০ এপ্রিল-২৫)দেশের সবচেয়ে উষ্ণতম অঞ্চল নাটোরের লালপুরে ৪০থেকে ৪২ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এই দাবদাহ তাপমাত্রায় প্রচন্ড গরম আর পানি সংকটে নাকাল হয়ে পড়েছে, লালপুর উপজেলার জন-জীবন।শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে।সূর্যের তাপ এতই বেশি যে,খোলা আকাশের নীচে হাটলেও গরম বাতাস লাগছে চোখে মুখে।যাত্রাপথে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকে।স্বস্তি পেতে কেউ কেউ হাতে মুখে পানি দিয়ে ঠান্ডা হওয়ার চেষ্টা করছে,শিশু কিশোররা গরম থেকে রেহাই পেতে মাতছে জলকেলিতে।
এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে পানি সংকট দেখা দিয়েছে বিভিন্ন টিউবওয়েলে।যে টিউবওয়েলে সহসা পানি আসত,সেই টিউবওয়েল এখন প্রায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে চাপলেও উঠছে না পানি।যার ফলে খাবার পানিসহ প্রয়োজনীয় কাজে চাহিদামতো পানি পাচ্ছে না মানুষ।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা যার কারনে বৈরি হয়ে উঠছে প্রকৃতি,হাঁসফাঁস করছে জনজীবন-প্রাণীকুল। খরতাপে সারাদিনই অস্বস্তিকর সময় পার করছেন সাধারণ মানুষ।গরমের তীব্রতায় জীবনযাত্রা থমকে যাবার উপক্রম হয়েছে। তীব্র গরমে ঘরের বাইরে আসা সাধারণ মানুষ পড়ছেন বিপাকে। বেশি বিপাকে পড়েছেন রিক্সা চালক,কৃষক সহ খেটে খাওয়া দিন মজুর। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বাইরে বের হতেই হচ্ছে তাদের তীব্র গরমের কারণে ঠিকমত কাজ করতে পারছে না বলে দাবি বেশ কয়েকজন দিনমজুর মানুষের কিন্তুু কাজ না করলে তো সংসার চলবে না এমনটাই বলেছে তারা।
ভেল্লাবাড়িয়া বাজারে আলম নামের এক অটো ভ্যান চালকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছে।যারা বাইরে আসছে গরমের সঙ্গে তাদেরও মেজাজ গরম থাকছে। মানুষের সঙ্গে ভালো করে কথা বলা যাচ্ছে না। এদিকে, গরমে পরিবহনে চলাচল করা যাত্রীরাও অনেক কষ্টে যাতায়াত করছেন।
বিলমাড়িয়া এলাকার কৃষক লিয়াকত আলী বলেন,পাট ক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য মটর চালালে উঠছে না পানি মাঝে মাঝে উঠলেও পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছি না।
সচেতন মহলরা বলছেন গত কয়েক বছর ধরে ওয়াটার টেবিলের লেয়ার নিম্নমুখী। ওয়াটার লেভেল নেমে যাওয়ার কারণেই সুপেয় পানির এই সংকট অবস্থা।এ সংকট অবস্থা না হওয়ার জন্য এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাহিদা মত সরকারি ভাবে সাবমার্সেবল স্থাপন করা জরুরি।সাবমার্সেবলের মাধ্যমে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করলে পরবর্তীতে এ দূর অবস্থা আর থাকবে না বলে মন্তব্য করেন তারা।
উল্লেখ্য,১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় লালপুর ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের নিরাপদ বিচরণ ক্ষেত্র। সে সময় স্থান টির অধিকাংশ এলাকা জঙ্গল বেষ্টিত হয় ওপার হতে আসা মুক্তিযোদ্ধারা এ অঞ্চলে আশ্রয় নিত। মুক্তিযোদ্ধাদের পদধূলিতে ধন্য এ এলাকাটি বহু পূর্বে ই উষ্ণতম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়। কিন্তু তার কারণে জল নষ্ট দূরীকরণের সুব্যবস্থা না থাকাই এলাকার মানুষ গুলি বরাবরই জল কষ্টের দুর্ভোগ মাড়িয়ে আসছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐈𝐧𝐭𝐞𝐥 𝐖𝐞𝐛